নবীদের দুআ
==== বিষয়ঃ নবীদের দুআ ===
>>> আদম আলাইহিস্ সালাম ও তার স্ত্রী ক্ষমা চেয়ে দু‘আ করেছিলেন <<<
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
রাব্বানা- য্বালাম্ না--- আন্ ফুসানা- ওয়া ইল্লাম্ তাগ্ ফির্ লানা- ওয়া তার্ হাম্ না- লানাকু-নান্ না মিনাল্ খা-সিরী---ন্
হে আমাদের রব! আমরা নিজেদের উপর অন্যায় করেছি, আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন আর আমাদেরকে রহমত না করেন, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। আ‘রাফ, ৭/২৩
>>> নূহ আলাইহিস্ সালামের দু‘আ <<<
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلا تَبَارًا
রাব্বিগ্ ফির্ লি- ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়া লিমান্ দাখালা বাইতিয়া মু-মিনাও ওয়ালিল্ মু-মিনি-না ওয়ালিল্ মু-মিনা-তি ওয়ালা- তাযিদিয্ য্বো-লিমি-না ইল্লা- তাবা-রা-
হে আমার রব! আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে ক্ষমা করুন, আর যে মুমিন হয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে তাকেও ক্ষমা করুন এবং মুমিন পুরুষদেরকে ও মুমিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন এবং যালেমদের ধ্বংস ছাড়া অন্য কিছু বৃদ্ধি করবেন না। নূহ, ৭১/২৮
رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَإِلا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِينَ
রাব্বি ইন্নি--- আঊ-যুবিকা আন্ আস্আলাকা মা- লাইসা লি- বিহি‘ইল্ ম্, ওয়া ইল্লা- তাগ্ ফির্ লি- ওয়াতার্ হাম্ নি--- আকুন্ মিনাল খা-সিরি-ন্
হে আমার রব! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি যে সম্বন্ধে আমার জ্ঞান নেই সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতে, আর যদি আমাকে ক্ষমা ও রহমত না করেন তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব। হুদ, ১১/৪৭
>>> নূহ আলাইহিস্ সালাম নৌকায় উঠার সময় দু‘আ করেছিলেন <<<
بِسْمِ اللَّهِ مَجْرِاهَا وَمُرْسَاهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَحِيمٌ
বিস্ মিল্লা-হি মাজ্ রে-হা- ওয়া মুর্ সা-হা- ইন্না রাব্বী- লাগাফুরুর্ রাহী---ম
আল্লাহর নামে এর চলা ও থামা, নিশ্চয় আমার রব অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। হুদ, ১১/৪১
>>> নূহ আলাইহিস্ সালাম নৌকায় উঠার পর দু‘আ করেছিলেন <<<
رَبِّ أَنْزِلْنِي مُنْزَلا مُبَارَكًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْمُنْزِلِينَ
রাব্বি আন্ যিল্ নি- মুন্ যালাম্ মুবা-রাকাঁও ওয়া আন্তা খায়রুল্ মুন্ যিলি--ন্
হে আমার রব! আমাকে অবতরণস্থানে বরকতপূর্ণভাবে অবতরণ করান, আপনি উত্তম অবতারণকারী। আল-মু’মিনুন, ২৩/২৯
>>> ইবরাহীম আলাইহিস্ সালামের দু‘আ <<<
رَبِّ اجْعَلْ هَذَا بَلَدًا آمِنًا وَارْزُقْ أَهْلَهُ مِنَ الثَّمَرَاتِ مَنْ آمَنَ مِنْهُمْ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ
রাব্বিজ্‘আল্ হাজা- বালাদান্ আ-মিনাঁও ওয়ার্ যুক্ আহ্ লাহু মিনাছ্ ছামারা-তি মান্ আ-মানা মিন্ হুম্ বিল্লা-হি ওয়াল্ ইয়াওমিল্ আখির্
হে আমার রব! আপনি একে নিরাপদ নগরীতে পরিণত করুন এবং তার অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান আনে তাদেরকে সব রকম ফল-মূল হতে রিযিক দান করুন। আল-বাকারাহ, ২/১২৬
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
রাব্বানা- তাকাব্বাল্ মিন্না--- ইন্নাকা আন্তাস্ সামী-‘উল ‘আলী---ম্।
হে আমাদের রব! আমাদের থেকে আপনি কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। আল-বাকারাহ, ২/১২৭
رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُسْلِمَةً لَكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
রাব্বানা- ওয়াজ্‘আল্ না- মুস্ লিমাইনি লাকা ওয়ামিন্ যুর্ রিইয়াতিনা--- উম্ মাতাম্ মুস্ লিমাতাল্ লাকা ওয়া আরিনা- মানা-সিকানা- ওয়াতুব্ ‘আলাইনা--- ইন্নাকা আন্তাত্ তাওওয়া-বুর্ রাহি---ম্
হে আমাদের রব! আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরদের মধ্য থেকে আপনার অনুগত একটি দল বানিয়ে দিন এবং আমাদেরকে আমাদের ইবাদাতের পন্থা দেখিয়ে দিন এবং আমাদের উপর ক্ষমাশীল হন। নিশ্চয় আপনি তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। আল-বাকারাহ, ২/১২৮
رَبَّنَا وَابْعَثْ فِيهِمْ رَسُولا مِنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيهِمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
রাব্বানা- ওয়াব্‘আছ্ ফিহিম্ রাসুলাম্ মিন্ হুম্ ইয়াত্ লু- ‘আলাইহিম্ আ---য়্যা-তিকা ওয়া ইউ‘আল্লিমু হুমুল্ কিতাবা ওয়াল হিক্ মাতা ওয়া ইউযাক্কিহিম্ ইন্নাকা আন্তাল্ ‘আযিযুল্ হাকি---ম
হে আমাদের রব, তাদের মধ্যে তাদের থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যে তাদের নিকট আপনার আয়াতসমূহ তিলওয়াত করবে এবং তাদেরকে কিতাব ও সুন্নাত শিক্ষা দিবে আর তাদেরকে পবিত্র করবে; নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আল-বাকারাহ, ২/১২৯
أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
আস্ লাম্ তু লি রাব্বিল ‘আ-লামি---ন্
আমি বিশ্বজগতের রবের নিকট আত্মসমর্পণ করলাম। আল-বাকারাহ, ২/১৩১
رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الأصْنَامَ
রাব্বিজ্‘আল্ হা-জাল্ বালাদা আ-মিনাও ওয়াজ্ নুব্ নি- ওয়া বানি-ইয়া আন্ না’বুদাল্ আস্ না---ম্
হে আমার রব! এই শহরকে নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা করা থেকে দূরে রাখুন। ইবরাহীম, ১৪/৩৫
رَبَّنَا إِنِّي أَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُمْ مِنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ
রাব্বানা--- ইন্নি--- আস্ কান্ তু মিন্ যুর্ রিইয়াতি- বিওয়া-দিম্ গাইরে যি- যার্ য়িন্ ইন্দা বায়তিকাল্ মুহার্ রামি রাব্বানা- লিইউক্কি-মুস্ সোলা-তা ফাজ‘আল্ আফ্‘ইদাতাম্ মিনান্ না-সি তাহ্উই--- ইলাইহিম্ ওয়ার্ যুক্ হুম্ মিনাছ্ ছামারা-তি লা‘আল্লাহুম্ ইয়াশকুরু---ন্
হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমি আমার কতক বংশধরদেরকে অনুর্বর উপত্যকায় তোমার পবিত্র ঘরের নিকট বসতি স্থাপন করালাম, হে আমাদের রব, যাতে তারা সালাত কায়েম করে, সুতরাং কিছু মানুষের অন্তর আপনি তাদের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন এবং তাদরেকে ফল-ফলাদি থেকে জীবিকা প্রদান করুন, যাতে করে তারা শুকরিয়া আদায় করে। ইবরাহীম, ১৪/৩৭
رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الأرْضِ وَلا فِي السَّمَاءِ
রাব্বানা--- ইন্নাকা তা‘আলামু মা- নুখ্ ফি- ওয়ামা- নু‘অলিন্, ওয়ামা- ইয়াখ্ ফা ‘আলাল্লাহি মিন্ শাইয়িন্ ফিল্ আরদি ওয়ালা- ফিস্ সামা-‘ই
হে আমাদের রব! নিশ্চয় আপনি জানেন যা আমরা গোপনে করি ও যাহা আমরা প্রকাশ করি এবং আল্লাহর কাছে কোন কিছুই গোপন নেই, না জমিনে আর না আসমানে। ইবরাহীম, ১৪/৩৮
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَهَبَ لِي عَلَى الْكِبَرِ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ إِنَّ رَبِّي لَسَمِيعُ الدُّعَاءِ
আল্ হাম্ দু লিল্লা হিল্লাযি ওয়াহাবা লি- ‘আলাল্ কিবারি ইস্ মা-‘ই-ল্ ওয়া ইস্ হা-ক্ক্ ইন্না রাব্বি- লা সামিউদ্ দু---আ
সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে বৃদ্ধ বয়সে ঈসমাঈল ও ইসহাককে দান করেছেন, নিশ্চয় আমার রব দু‘আ শ্রবণকারী। ইবরাহীম, ১৪/৩৯
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ
রাব্বিজ্ ‘আল্ নী- মুক্বীমাস্ সোলা-তি ওয়ামিন্ যুর্ রিইয়াতী-, রাব্বানা- ওয়া তাক্বাব্বাল্ দুআ--
হে আমার রব! আমাকে সালাত কায়েমকারী বানান ও আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব! আর আপনি আমার দু‘আ কবুল করুন। ইবরাহীম, ১৪/৪০
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
রাব্বানাগ্ ফির্ লী- ওয়ালি ওয়ালি দাইইয়া ওয়ালিল্ মূ-মিনী-না ইয়াওমা ইয়াকু-মুল্ হিসা--ব্
হে আমাদের রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে ও মুমিনদেরকে সেদিন ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে। ইবরাহীম, ১৪/৪১
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ وَالَّذِي يُمِيتُنِي ثُمَّ يُحْيِينِ وَالَّذِي أَطْمَعُ أَنْ يَغْفِرَ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ
ওয়া ইযা-মারিদ্ব্ তু ফাহুওয়া ইয়াশ্ ফি---ন্, ওয়াল্লাযি ইয়ুমি-তুনি- ছুম্মা ইয়ুহ্ ই-ন্, ওয়াল্লাযি- আত্বমায়ুআই ইয়াগ্ ফিরালি- খাত্বি-আতি- ইয়াওমাদ্ দি---ন্
আর যখন আমি রোগাক্রান্ত হই তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন আর যিনি আমাকে মৃত্যু দেবেন এরপর আবার তিনি আমাকে জীবত করবেন; আর আমি আশা করি বিচারের দিবসে তিনি আমার ক্রটিসমূহ ক্ষমা করবেন। আশ্-শু‘আরা, ২৬/৮০-৮২
رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الآخِرِينَ وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ
রাব্বি হাব্লি- হুক্মাও ওয়াল্ হিক্কনি- বিস্ সো-লিহি---ন্ ওয়াজ্‘আল্ লি- লিসা-না সিদ্ক্বিন্ ফিল্ আখিরি---ন্ ওয়াজ্ ‘আলনি- মিও ওয়ারাছাতি জান্নাতিন্ না‘ই--ম
হে আমার রব! আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের সাথে মিলিত করুন; এবং পরবর্তীদের মধ্যে আমাকে সত্যভাষী করুন এবং আমাকে নেয়ামতে ভরা জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আশ্-শু‘আরা, ২৬/৮৩-৮৫
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
রাব্বি হাব্ লী- মিনাস্ সো-লিহি---ন্
হে আমার রব! আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান কর। আস-সাফফাত, ৩৭/১০০
رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ رَبَّنَا لا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
রাব্বানা- ‘আলাইকা তাওয়াক্কাল্ না- ওয়াইলাইকা আনাব্ না- ওয়াইলাইকাল্ মাসি--র, রাব্বানা- লা- তাজ্‘আল্ না- ফিত্ নাতাল্ লিল্লাযি-না কাফারু- ওয়াগ্ ফির্ লানা- রাব্বানা- ইন্নাকা আন্তাল্ ‘আযিযুল্ হাকি---ম
হে আমাদের রব! আমরা আপনার উপরই ভরসা করছি, এবং আপনারই দিকেই আমরা অভিমুখী এবং আপনার কাছে প্রত্যাবর্তনস্থল। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে অবিশ্বাসীদের জন্য ফিতনার কারণ করবেন না এবং আমাদের ক্ষমা করুন; হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আল-মুমতাহিনাহ, ৬০/৪-৫
>>> লুত আলাইহিস্ সালামের দু‘আ <<<
رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ
রাব্বি নাজ্জিনি- ওয়া আহ্ লি- মিম্মা ইয়ামালু---ন্
হে আমার রব! তারা যা করছে তা হতে আমাকে এবং আমার পরিবারবর্গকে রক্ষা করুন। আশ্-শু‘আরা, ২৬/১৬৯
رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ
রাব্বি ঊন্ সূর্ নি- আলাল্ কাওমিল্ মুফ্ সিদি---ন্
হে আমার রব! বিপর্যয় সৃষ্টিকারী লোকদের উপর আমাকে সাহায্য করুন। ‘আল-আনকাবূত, ২৯/৩০
>>> ইউসুফ আলাইহিস্ সালামের দু‘আ <<<
مَعَاذَ اللَّهِ إِنَّهُ رَبِّي أَحْسَنَ مَثْوَايَ إِنَّهُ لا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ
মা‘আ-যাল্লা---হ, ইন্নাহু রাব্বি--- আহ্সানা মাছওয়া---আই ইন্নাহু লা- ইউফ্ লিহুয্ যো-লেমু---ন্
আমি আল্লাহর আশ্রয় চাই, নিশ্চয় তিনি আমার রব, তিনি আমার থাকার উত্তম ব্যবস্থা করেছেন, নিশ্চয় যালিমগণ সফল হয় না। ইউসুফ, ১২/২৩
رَبِّ السِّجْنُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا يَدْعُونَنِي إِلَيْهِ وَإِلا تَصْرِفْ عَنِّي كَيْدَهُنَّ أَصْبُ إِلَيْهِنَّ وَأَكُنْ مِنَ الْجَاهِلِينَ
রাব্বিস্ সিজ্ নু আহাব্ বু ইলাইয়া মিম্মা ইয়াদ্ইউ-নানি--- ইলাই, ওয়া ইল্লা- তাস্ রিফ্ আন্নি- কায়দাহুন্না আস্ বু ইলাইহিন্না ওয়া আকুন্ মিনাল্ জা-হিলি---ন্
হে আমার রব, তারা আমাকে যেদিকে আহবান করছে তার চাইতে কারাগারই আমি বেশি পছন্দ করি, আর আপনি যদি আমার থেকে তাদের ছলনা না ফিরান তাহলে আমি তাদের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। ইউসুফ, ১২/৩৩
فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالأرْضِ أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
ফা-ত্বিরাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল্ আর্ দ্বি আন্তা ওয়ালিয়ি- ফিদ্দুন্ইয়া- ওয়াল্ আখিরা, তাওয়াফ্ ফানি মুস্ লিমাঁও ওয়াল্ হিক্ক্ নি বিস্ সোলিহি---ন্
হে আসমান ও জমিনের স্রষ্টা, আপনিই আমার অভিভাবক দুনিয়াতে ও আখেরাতে, আমাকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যুদান করুন এবং আমাকে সৎলোকদের সাথে মিলিত করুন। ইউসুফ, ১২/১০১
>>> রোগমুক্তি কামনায় আইউব আলাইহিস্ সালাম দু‘আ করেছিলেন <<<
أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
আন্নি মাস্ সানিইয়াদ্ব্ দ্বুর্রু ওয়া আন্তা আর্ হামুর্ রা-হিমি--ন্
নিশ্চয় আমাকে দুঃখকষ্টে (অসুখে) ধরেছে আর আপনি হলেন দয়াবানদের সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াবান। আল-আম্বিয়া, ২১/৮৩
أَنِّي مَسَّنِيَ الشَّيْطَانُ بِنُصْبٍ وَعَذَابٍ
আন্নি মাস্ সানিইয়াশ্ শায়ত্বো-নু বিনুস্ বিন্ ওয়া আযা---ব
নিশ্চয় শয়তান আমাকে কষ্ট ও আযাবে ফেলেছে। সোয়াদ, ৩৮/৪১
>>> শু‘আইব আলাইহিস্ সালামের দু‘আ <<<
عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ
‘আলাল্লা-হি তাওয়াক্কাল্ না- রাব্বানাফ্ তাহ্ বাইনানা- ওয়া বাইনা ক্বাওমিনা- বিল্ হাক্কি ওয়া আন্তা খায়রুল্ ফা-তিহি---ন্
আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করছি। হে আমাদের রব! আমাদের মাঝে ও আমাদের সম্প্রদায়ের মাঝে সঠিক ফয়সালা করে দিন এবং আপনি উত্তম ফয়সালাকারী। আ‘রাফ, ৭/৮৯
>>> মুসা আলাইহিস্ সালামের দু‘আ <<<
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلأخِي وَأَدْخِلْنَا فِي رَحْمَتِكَ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
রাব্বিগ্ ফির্ লি- ওয়ালি আখি- ওয়া আদ্ খিল্ না- ফি- রাহমাতিকা ওয়া আন্তা আর্ হামুর্ রা-হিমি---ন্
হে আমার রব! আমাকে ও আমার ভাইকে ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আপনার রহমতের মধ্যে প্রবেশ করান আর আপনি হলেন দয়াবানদের সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াবান। আ‘রাফ, ৭/১৫১
اللَّهُمَّ أَنْتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ وَاكْتُبْ لَنَا فِي هَذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ
আল্লা-হুম্মা আন্তা ওয়ালি-য়ুনা- ফাগ্ ফির্ লানা- ওয়ার্ হাম্ না- ওয়া আন্তা খায়রুল্ গা-ফিরি---ন্ ওয়াক্ তুব্ লানা- ফি- হা-যিহিদ্ দুন্ইয়া- হাসানাতাঁও ওয়াফিল্ আ-খিরা
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের অভিভাবক তাই আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন ও আমাদেরকে রহমত করুন আর আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাকারী। আর আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ লিখে দিন। আ‘রাফ, ৭/১৫৫-১৫৬
رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي يَفْقَهُوا قَوْلِي
রাব্বিশ্ রাহ্ লি- স্বোদ্রি- ওয়া ইয়াস্ সির্ লি--- আম্ রি- ওয়াহ্ লুল্ উক্কদাতাম্ মিল্ লিসা-নি- ইয়াফ্ক্বাহু- কাওলি-
হে আমার রব! আমার জন্যে আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দিন এবং আমার জন্যে আমার কাজ সহজ করে দিন এবং আমার জিহবা হতে জড়তা দূর করে দিন যাতে আমার কথা তারা বুঝতে পারে। ত্ব-হা, ২০/২৫-২৮
رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
রাব্বি ইন্নি- যোলাম্ তু নাফ্ সি- ফাগ্ ফির্ লি- ফাগাফারা লাহ, ইন্নাহু হুওয়াল্ গাফু-রুর্ রাহি---ম্
হে আমার রব! নিশ্চয় আমি নিজের উপর জুলুম করেছি, তাই আমাকে ক্ষমা করুন; অতঃপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন, নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। আল-কাসাস, ২৮/১৬
رَبِّ بِمَا أَنْعَمْتَ عَلَيَّ فَلَنْ أَكُونَ ظَهِيرًا لِلْمُجْرِمِينَ
রাব্বি বিমা-- আন্‘আম্ তা আলাইয়া ফালান্ আকু-না যোহি-রাল্ লিল্ মুজ্ রিমি-ন্
হে আমার রব! আপনি আমার উপর অনেক কিছু দ্বারা অনুগ্রহ করেছেন, তাই কখনও আমি অপরাধীদের জন্যে সাহায্যকারী হব না। আল-কাসাস, ২৮/১৭
رَبِّ نَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
রাব্বি নাজ্জিনি- মিনাল্ ক্বাওমিয্ যো-লিমি---ন্
হে আমার রব! আমাকে জালেম সম্প্রদায়ের হতে রক্ষা করুন। আল-কাসাস, ২৮/২১
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
রাব্বি ইন্নি লিমা--- আন্ যাল্ তা ইলাইয়া মিন্ খায়রিন্ ফাক্বি---র্
হে আমার রব! নিশ্চয় আমার প্রতি আপনি যে কল্যাণ অবতীর্ণ করবেন আমি তার মুখাপেক্ষী। আল-কাসাস, ২৮/২৪
>>> ইউনুস আলাইহিস্ সালামের দু‘আ <<<
لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
লা---ইলাহা ইল্লা--- আন্তা সুব্ হা-নাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ্ যো-লিমি---ন্
আপনি ব্যতীত কোন (সত্য) ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র মহান, নিশ্চয় আমি সীমালংঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছি। আল-আম্বিয়া, ২১/৮৭
>>> দাউদ ও সোলায়মান আলাইহিস্ সালামের দু‘আ <<<
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي فَضَّلَنَا عَلَى كَثِيرٍ مِنْ عِبَادِهِ الْمُؤْمِنِينَ
আল্ হাম্ দুলিল্লা- হিল্লাযি- ফাদ্ব্দ্বোলানা- আলা কাছি-রিম্ মিন্ ‘ইবা-দিহিল্ মূ-মিনি-ন্
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে অনেক মুমিন বান্দাদের উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। আন্-নাম্ল, ২৭/১৫
>>> সোলায়মান আলাইহিস্ সালামের দু‘আ <<<
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ
রাব্বি আওযি‘ইনি--- আন্ আশ্ কুরা নি‘ইমাতা কাল্লাতি--- আন্‘আম্ তা আলাইয়া ওয়া আলা ওয়া-লিদাইয়া ওয়া আন্ আ‘মালা সো-লিহান্ তার্ দ্বো-হু ওয়া আদ্ খিল্ নি- বিরাহমাতিকা ফি ইবা-দিকাস্ সো-লিহি---ন্
হে আমার রব! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন, আমি যেন আপনার নিয়ামতের শোকর করতে পারি, যা নিয়ামত আমার উপর ও আমার পিতা-মাতার উপর আপনি দান করেছেন এবং আমি যেন আপনার পছন্দনীয় সৎকাজ করতে পারি এবং আমাকে আপনার রহমতের দ্বারে প্রবেশ করিয়ে আপনার সৎবান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আন্-নাম্ল, ২৭/১৯
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَهَبْ لِي مُلْكًا لا يَنْبَغِي لأحَدٍ مِنْ بَعْدِي إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ
রাব্বিগ্ ফির্ লি- ওয়াহাব্ লি- মুল্ কান্ লা- ইয়াম্ বাগি- লি আহাদিম্ মিম্ বা‘য়দি- ইন্নাকা আন্তাল্ ওয়াহা---ব্
হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন রাজত্ব দান করুন, যা কারও জন্য আমার পরে শোভনীয় হবে না। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। সোয়াদ, ৩৮/৩৫
>>> যাকারিয়া আলাইহিস্ সালাম সন্তান কামনায় দু‘আ করেছিলেন <<<
رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
রাব্বি হাব্লী- মিল্লাদুন্কা যুর্রিইয়াতান্ ত্বোইয়িবাহ, ইন্নাকা সামী-‘উদ্ দু‘আ---
হে আমার রব! আমাকে আপনার নিকট হতে পবিত্র সন্তান দান করুন, নিশ্চয় আপনি দু‘আ শ্রবণকারী। আলে‘ইমরান, ৩/৩৮
رَبِّ إِنِّي وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّي وَاشْتَعَلَ الرَّأْسُ شَيْبًا وَلَمْ أَكُنْ بِدُعَائِكَ رَبِّ شَقِيًّا وَكَانَتِ امْرَأَتِي عَاقِرًا فَهَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا
রাব্বি ইন্নি ওয়াহানাল্ ‘আয্মু মিন্নি- ওয়াশ্ তা‘আলার্ রা‘আসু শাইবাঁও ওয়া লাম্ আকুন্ বি দু‘আ---ইকা রাব্বি শাক্বিয়া-, ওয়া কা-নাতিম্ রয়াতি ‘আক্কেরান্ ফাহাব্ লি- মিল্লাদুন্ কা ওয়ালিয়া
হে আমার রব! আমার হাড়গুলো দুর্বল হয়ে গেছে আর বার্ধক্যে মাথার চুলগুলো সাদা হয়েছে; হে আমার রব! আপনাকে ডেকে আমি কখনও ব্যর্থ্ হইনি। আর আমার স্ত্রী হল বন্ধ্যা, তাই আপনি আমাকে আপনার পক্ষ থেকে একজন উত্তরাধিকারী দান করুন। মারইয়াম, ১৯/৪-৫
رَبِّ لا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
রাব্বি লা- তাযার্ নি- ফার্ দাও ওয়া আন্তা খায়রুল্ ওয়া-রিছি---ন্
হে আমার রব! আমাকে একাকী রাখবেন না আর আপনি সর্বোত্তম উত্তরাধিকারী। আল-আম্বিয়া, ২১/৮৯
>>> ঈসা আলাইহিস্ সালামের দু‘আ <<<
اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنْزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لأوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيرُ الرَّازِقِينَ
আল্লা-হুম্মা রাব্বানা--- আন্ যিল্ ‘আলাইনা- মা---‘ইদাতাম্ মিনাস্ সামা---ই তাকু-নু লানা- ইদাল্ লিআও ওয়ালিনা- ওয়া আ-খিরিনা- ওয়া আ-ইয়াতাম্ মিন্ কা ওয়ার্ যুক্ না- ওয়ান্তা খায়রুর্ রা-যিকি-ন্
হে আল্লাহ! আমাদের রব, আমাদের প্রতি আসমান হতে খাদ্যভর্তি পাত্র অবতীর্ণ্ করুন, যা আমাদের জন্যে হবে খুশীর উপলক্ষ, আমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ও পরবর্তীদের জন্য আপনার পক্ষ হতে নিদর্শন হবে এবং আমাদের রিযিক দিন এবং আপনি উত্তম রিযিকদাতা। আল-মায়িদাহ, ৫/১১৪
>>> রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু‘আ করেছিলেন <<<
رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا
রাব্বি আদ্ খিল্ নি- মুদ্ খালা স্বিদ্ ক্বিও ওয়া আখ্ রিয্নি- মুখ্ রাজা স্বিদ্ ক্বিও ওয়াজ্‘আল্ লি- মিল্লাদুন্ কা সুল্ ত্বোনান্ নাসি-রা
হে আমার রব! আমাকে সত্যসহকারে প্রবেশ করান আর আমাকে সত্যসহকারে বের করে আনুন এবং আমাকে আপনার নিকট হতে সাহায্যকারী শক্তি দান করুন। আল-ইস্রা, ১৭/৮০
رَبِّ احْكُمْ بِالْحَقِّ وَرَبُّنَا الرَّحْمَنُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ
রাব্বিহ্ কুম্ বিল্ হাক্ক্, ওয়া রাব্বুনার্ রাহমানুল্ মুসতা‘আ-নু আলা মা- তাসিফু-ন্
হে আমার রব! আপনি ন্যায়ভাবে ফয়সালা করে দিন। আর আমাদের রব হলো পরম করুণাময়। তোমরা যা বলছ সে বিষয়ে তিনিই একমাত্র সহায়স্থল। আল-আম্বিয়া, ২১/১১২
رَبِّ إِمَّا تُرِيَنِّي مَا يُوعَدُونَ رَبِّ فَلا تَجْعَلْنِي فِي الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
রাব্বি ইম্ মা তুরিইয়ান্নি- মা- ইউ‘আদু---ন্, রাব্বি ফালা তাজ্‘আল্ নি- ফিল্ ক্বাওমিয্ যো-লিমি---ন্
হে আমার রব! যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হচ্ছে তা যদি আপনি আমাকে দেখাতে চান, তবে হে আমার রব! আপনি আমাকে যালিম দলের অন্তর্ভুক্ত করবেন না। মু’মিনুন, ২৩/৯৪
>>> কুরআনের আরও কিছু দু‘আ <<<
>>> ফেরাউনের যাদুকররা ঈমান এনে বলেছিল <<<
آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ আ-মান্না- বিরাব্বিল্ ‘আ-লামি---ন্
আমরা ঈমান এনেছি বিশ্বজাহানের রবের প্রতি। আ‘রাফ,৭/১২১, আশ্-শু‘আরা, ২৬/৪৭
>>> ফেরাউনের যাদুকররা ক্ষমা চেয়ে দু‘আ করেছিল <<<
إِنَّا آمَنَّا بِرَبِّنَا لِيَغْفِرَ لَنَا خَطَايَانَا وَمَا أَكْرَهْتَنَا عَلَيْهِ مِنَ السِّحْرِ وَاللَّهُ خَيْرٌ وَأَبْقَى
ইন্না--- আ-মান্না- বি রাব্বিনা- লিইয়াগ্ ফিরালানা- খাত্বো-ইয়া-না- ওয়া মা--- আক্ রাহ্ তানা- আলাইহি মিনাস্ সেহ্ র্, ওয়াল্লা-হু খায়রুন্ ওয়া আব্ ক্বা
নিশ্চয় আমরা আমাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছি, যাতে তিনি আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করেন এবং যে যাদু তুমি আমাদেরকে করতে বাধ্য করেছো তাও ক্ষমা করেন এবং আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ ও চিরস্থায়ী। ত্ব-হা, ২০/৭৩
>>> মুসা আলাইহিস্ সালামের সম্প্রদায় দু‘আ করেছিল <<<
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
রাব্বানা--- আফ্ রিগ্ আলাইনা- সোব্ রাও ওয়া তাওয়াফ্ ফানা- মুস্ লিমি---ন্
হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্যধারণের ক্ষমতা প্রদান করুন এবং আমাদেরকে মুসলিম হিসাবে মৃত্যু দান করুন। আ‘রাফ, ৭/১২৬
عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا رَبَّنَا لا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
‘আলাল্লা-হি তাওয়াক্কাল্ না- রাব্বানা- লা- তাজ‘আল্ না- ফিত্ নাতাল্ লিল্ কাওমিয্ যো-লিমি---ন্ ওয়া নাজ্জিনা- বি রাহমাতিকা মিনাল্ কাওমিল্ কা-ফেরি---ন্
আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করছি। হে আমাদের রব! আমাদেরকে যালেম সম্প্রদায়ের ফিতনায় পরিণত করবেন না এবং আপনার রহমতে আমাদেরকে অবিশ্বাসী সম্প্রদায় হতে রক্ষা করুন। ইউনুস, ১০/৮৫-৮৬
>>> ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দু‘আ করেছিলেন <<<
رَبِّ ابْنِ لِي عِنْدَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ
রাব্বিব্নিলি- ইন্দাকা বায়তান্ ফি-ল্ জান্নাতি
হে আমার রব! আমার জন্যে আপনার নিকটে জান্নাতের মধ্যে একটি ঘর তৈরি করুন। আত-তাহরীম, ৬৬/১১
>>> তালুত ও তার সৈন্যবাহিনীর দু‘আ <<<
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
রাব্বানা--- আফ্ রিগ্ ‘আলাইনা- সোব্ রাও ওয়াছাব্বিত্ আক্ দা-মানা- ওয়ান্ ছুরনা- ‘আলাল্ কাওমিল্ কা-ফেরি---ন্
হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্যধারণের শক্তি দান করুন এবং আমাদের পদক্ষেপ সুদৃঢ় করুন, আর আমাদেরকে অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন। আল-বাকারাহ, ২/২৫০
>>> সাবা জাতির রানী বিলকিস ঈমান এনে বলেছিল <<<
رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي وَأَسْلَمْتُ مَعَ سُلَيْمَانَ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
রাব্বি ইন্নি যোলাম্ তু নাফ্ সি- ওয়া আস্ লাম্ তু মা‘আ সুলায়মা-না লিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামি---ন্
হে আমার রব! নিশ্চয় আমি নিজের প্রতি যুলুম করেছি আর আমি সুলায়মানের সাথে বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহর নিকট আত্নসমর্পণ করলাম। আন্-নাম্ল, ২৭/৪৪
>>> ঈসা আলাইহিস্ সালাম এর অনুসারীরা ঈমান এনে বলেছিল <<<
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
রাব্বানা--- আ-মান্না- বিমা--- আন্ যাল্ তা ওয়াত্তাবা’নার্ রাসূ-লা ফাক্ তুব্ না- মা‘আশ্ শা-হিদি---ন্
হে আমাদের রব! আপনি যা নাযিল করেছেন আমরা তার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আমরা রাসূলকে অনুসরণ করছি, তাই আমাদের নাম সাক্ষ্যদাতাদের সাথে লিপিবদ্ধ করুন। আলে‘ইমরান, ৩/৫৩
>>> গুহাবাসী যুবকদের দু‘আ <<<
رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
রাব্বানা--- আ-তিনা- মিল্লাদুন্ কা রাহমাতাঁও ওয়া হাইয়ি- লানা মিন্ আম্ রিনা- রাশাদা-
হে আমাদের রব! আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজ-কর্ম্ সঠিকভাবে গড়ে দিন। আল-কাহ্ফ, ১৮/১০
>>>> আরশের ফেরেশতাগণ ঈমানদারদের জন্য দু‘আ করছে <<<
رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ وَقِهِمُ السَّيِّئَاتِ وَمَنْ تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهُ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
হে আমাদের রব! আপনি রহমত ও জ্ঞান দ্বারা সবক
আজকের আইডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url