★ আমাদের ইমাম কে | শরিফ গাজী অফিসিয়াল

★ আমাদের ইমাম কে

++>> আমাদের ইমাম কে? ++<<
إِمَام (ইমাম) শব্দটি একবচন, যার বহুবচন أَئِمَّة (আ-ইম্মা), শাব্দিক অর্থ নেতা, প্রধান, সালাতের ইমাম, অগ্রণী, পথ, গ্রন্থ, পুস্তক, দিক-নির্দেশক বস্তু, আদর্শ, নমুনা। কুরআনে একবচনে إِمَام (ইমাম) শব্দটি সাতবার এবং বহুবচনে أَئِمَّة (আ-ইম্মা) শব্দটি পাঁচবার এসেছে।
== কুরআনের আয়াতে إِمَام (ইমাম) অর্থ কি? ==
== إِمَام (ইমাম) অর্থ নেতা ==
قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًا
তিনি (আল্লাহ) বললেন, নিশ্চয় আমি (ইবরাহীম) তোমাকে মানবজাতির জন্য নেতা বানাব। আল-বাকারা, ২/১২৪
وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন। আল-ফুরকান, ২৫/৭৪
== ইমামের বহুবচন أَئِمَّة (আ-ইম্মা) যার অর্থ নেতা ==
وَجَعَلْنَاهُمْ أَئِمَّةً يَهْدُونَ بِأَمْرِنَا وَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِمْ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَإِقَامَ الصَّلاةِ وَإِيتَاءَ الزَّكَاةِ وَكَانُوا لَنَا عَابِدِينَ
আর আমি তাদেরকে নেতা বানিয়েছিলাম, তারা আমার নির্দেশ অনুসারে মানুষকে সঠিক পথ দেখাত, আমি তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেছিলাম ভাল কাজ করার, সালাত কায়েম করার এবং যাকাত প্রদান করার জন্য আর তারা আমারই ইবাদাত করত। আম্বিয়া, ২১/৭৩
وَجَعَلْنَا مِنْهُمْ أَئِمَّةً يَهْدُونَ بِأَمْرِنَا لَمَّا صَبَرُوا وَكَانُوا بِآيَاتِنَا يُوقِنُونَ
আর আমি তাদের মধ্য থেকে বহু নেতা করেছিলাম, তারা আমার নির্দেশক্রমে সঠিক পথ প্রদর্শন করত, যতদিন তারা ধৈর্যধারণ করেছিল, তারা আমার আয়াতসমূহের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী ছিল।
“আস-সাজদাহ”, ৩২/২৪
وَنُرِيدُ أَنْ نَمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الأرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ
আর আমি চাইলাম সেই দেশে যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে এবং তাদেরকে নেতা বানাতে আর তাদেরকে উত্তরাধিকারী বানাতে। আল-কাসাস, ২৮/৫
وَجَعَلْنَاهُمْ أَئِمَّةً يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ لا يُنْصَرُونَ
আর আমি তাদেরকে নেতা বানিয়েছিলাম, তারা লোকদেরকে জাহান্নামের দিকে আহবান করত এবং কিয়ামতের দিন তাদেরকে সাহায্য করা হবে না। আল-কাসাস, ২৮/৪১
وَإِنْ نَكَثُوا أَيْمَانَهُمْ مِنْ بَعْدِ عَهْدِهِمْ وَطَعَنُوا فِي دِينِكُمْ فَقَاتِلُوا أَئِمَّةَ الْكُفْرِ إِنَّهُمْ لا أَيْمَانَ لَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَنْتَهُونَ
আর যদি তারা তাদের অঙ্গীকারের পর তাদের শপথ ভঙ্গ করে এবং তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে কটূক্তি করে তাহলে তোমরা কুফরের নেতাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর নিশ্চয় তাদের কোন শপথ রইল না, হয়ত তারা বিরত হবে। তাওবা, ৯/১২
>>> إِمَام (ইমাম) অর্থ পথপ্রদর্শক <<<
وَمِنْ قَبْلِهِ كِتَابُ مُوسَى إِمَامًا وَرَحْمَةً
এর পূর্বে মূসার কিতাব এসেছিল পথপ্রদর্শক ও রহমতস্বরূপ। হুদ, ১১/১৭
وَمِنْ قَبْلِهِ كِتَابُ مُوسَى إِمَامًا وَرَحْمَةً وَهَذَا كِتَابٌ مُصَدِّقٌ لِسَانًا عَرَبِيًّا لِيُنْذِرَ الَّذِينَ ظَلَمُوا وَبُشْرَى لِلْمُحْسِنِينَ
আর এর পূর্বে মূসার কিতাব এসেছিল পথপ্রদর্শক ও রহমতস্বরূপ এবং এই কিতাব তার সত্যায়নকারী, আরবী ভাষায়; যেন যালিমদেরকে সতর্ক করতে পারে আর (মুহসেনিন) সৎকর্মশীলদের জন্য সুসংবাদ। আহকাফ, ৪৬/১২
>>> إِمَام (ইমাম) অর্থ আমলনামা <<<
يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ فَمَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَأُولَئِكَ يَقْرَءُونَ كِتَابَهُمْ وَلا يُظْلَمُونَ فَتِيلا
স্মরণ কর, সেই দিনকে যখন আমি প্রত্যেক মানুষকে তাদের আমলনামাসহ ডাকব, অতঃপর যাদের আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে, তারা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও জুলুম করা হবে না। ইসরা, ১৭/৭১
>>> إِمَام (ইমাম) অর্থ সংরক্ষিত কিতাব/খাতা <<<
إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ وَكُلَّ شَيْءٍ أحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ
নিশ্চয় আমি মৃতকে জীবিত করি আর লিখে রাখি যা তারা আগে পাঠিয়ে দেয় এবং যা পিছনে ছেড়ে যায় আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুস্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত করে রেখেছি। ইয়াসীন, ৩৬/১২
>>> إِمَام (ইমাম) অর্থ জনপথ <<<
فَانْتَقَمْنَا مِنْهُمْ وَإِنَّهُمَا لَبِإِمَامٍ مُبِينٍ
অতঃপর আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ নিলাম আর অবশ্যই এ দু’টো প্রকাশ্য জনপথের সাথে অবস্থিত। আল-হিজর, ১৫/৭৯
>>> আমাদের ইমাম <<<
কুরআনের আয়াতে ইমাম অর্থ পাঁচ রকম পেলাম- নেতা, পথপ্রদর্শক, আমলনামা, সংরক্ষিত কিতাব, ও জনপথ। যখন বলা হয়, ‘আমাদের ইমাম কে’? তখন কোন ব্যক্তিকে বুঝায়, কোন বস্তু বা অন্য কিছুকে বুঝায় না। কুরআনের আলোকে তখন দুটি অর্থ থাকে, নেতা ও পথপ্রদর্শক।
নেতা বললে শুধু রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আর পথপ্রদর্শক বললে, রাসূল ও কুরআন উভয়কে বুঝায়। কুরআন হল পথপ্রদর্শক বা পথ নির্দেশ, আল্লাহ বলেন-
ذَلِكَ الْكِتَابُ لا رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ
এই সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য পথ নির্দেশ। আল-বাকারা, ২/২
طس تِلْكَ آيَاتُ الْقُرْآنِ وَكِتَابٍ مُبِينٍ هُدًى وَبُشْرَى لِلْمُؤْمِنِينَ
ত্বা-সীন; এগুলো কুরআনের ও সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত। মুমিনদের জন্য পথ নির্দেশ ও সুসংবাদ। আন-নামল, ২৭/১-২
এখন ইমাম অর্থ একটি বাকী রইল তা হলো নেতা। এবার আপনিই বলুন আমাদের ইমাম বা নেতা কে? মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাকি আবু হানিফা নাকি অন্য কেউ? আবার বলা হয় আবু হানিফা হলেন ইমামে আযম। আযম মানে মহান বা যে সবচেয়ে বড় আর ইমাম মানে নেতা। তাহলে ইমামে আযম অর্থ হয় আবু হানিফা হলেন আমাদের সবচেয়ে বড় ইমাম বা নেতা। আসলে কি তাই? নাকি ইমামে আযম কিংবা সব চেয়ে বড় নেতা হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর তিনি নবী ও রাসূল। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আল্লাহ বলেন-
وَإِنَّكَ لَعَلى خُلُقٍ عَظِيمٍ
আর অবশ্যই আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী। আল-কালাম, ৬৮/৪
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
অবশ্যই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ, তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও আখিরাত প্রত্যাশা করে আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে। আহযাব, ৩৩/২১
আবু হানিফা সম্পর্কে কি কুরআনে এরকম দলিল আছে? যে ব্যক্তি আবু হানিফাকে ইমাম বা নেতা মানল সে ব্যক্তি তো রাসুলের রিসালাতকে চ্যালেঞ্জ করল। আর যে বলে আবু হানিফা এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় আমাদের ইমাম তাহলে সে-তো রাসূলের রিসালতের অংশ আবু হানিফাকে দিয়ে দিল। সে কি আর মুসলিম থাকল?
কেউ কেউ বলেন, আবু হানিফা আমাদের মাযহাবের ইমাম। তাহলে জানতে হবে মাযহাব মানে কি? মাযহাব শব্দের অর্থ ধর্ম, ধর্মমত, পথ, মত, মতবাদ, আদর্শ, বিশ্বাস। তার মানে দাড়াঁয় আবু হানিফা আমাদের ধর্মের, পথের, মতের, মতবাদের, আদর্শের, বিশ্বাসের ইমাম বা নেতা।
আবার কেউ কেউ বলেন আমাদেরকে মাযহাব মানতে হবে এবং আমাদেরকে আবু হানিফার মাযহাব মানতে হবে। তার মানে হল আমাদেরকে আবু হানিফার ধর্ম, পথ, মত, মতবাদ, আদর্শ ও বিশ্বাস মানতে হবে। যে আবু হানিফার ধর্ম্ …….. ইত্যাদি মানল সে কি রাসূলকে অমান্য করল না? আল্লাহ বলেন-
وَمَنْ يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيرًا
আর যে রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তার জন্যে হিদায়াত স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও এবং মুমিনের পথের বিপরীত পথ অনুসরণ করে, আমি তাকে ফেরাব, যেদিকে সে ফিরে যেতে চায় এবং তাকে প্রবেশ করাব জাহান্নামে আর তা খুবই নিকৃষ্টতর আবাসস্থল। আন-নিসা, ৪/১১৫
আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন-
وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُهِينٌ
যে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অমান্য করবে এবং তাঁর সীমারেখা লঙ্ঘন করবে, তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন, সেখানে সে চিরকাল থাকবে; আর তার জন্যই রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। আন-নিসা, ৪/১৪
যদি বলেন, আমরা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবু হানিফা উভয়কে মানি। তাহলে বলুন একজন মানুষ একসাথে দুটি ধর্ম কিভাবে মানে? কেউ কি একসাথে মুসলিম ও হিন্দু উভয়ে হতে পারে? সে কি পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করল? আল্লাহ বলেছেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
হে মুমিনগন, তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। আল-বাকারা, ২/২০৮
যদি আবু হানিফা এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুইজনেরই ধর্ম মানেন তাহলে কি পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামে প্রবেশ করা হল?
কবরে আপনাকে কি প্রশ্ন করা হবে? তোমার মাযহাব কি নাকি তোমার দ্বীন কি? তখন কি উত্তর দিবেন? আল্লাহ কুরআনে বলেছেন-
إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الإسْلامُ
নিশ্চয় আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন (জীবন-বিধান) হল ইসলাম। আলে-ইমরান, ৩/১৯
আল্লাহ কুরআনের অন্যত্র বলেছেন-
وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الإسْلامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
আর যে কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইবে তবে তার কাছ থেকে কক্ষনো তা কবুল করা হবে না আর সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আলে-ইমরান, ৩/৮৫
যে ব্যক্তি ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে মেনে চলবে সেইতো এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। তাই আসুন, আমরা ইসলামকেই একমাত্র দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করি। অন্য কোন দ্বীন, তরীকা বা মাযহাব কে নয়, তাহলেই কেবল আখেরাতে মু্ক্তি পাওয়া যাবে।
কবরে আপনাকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে নাকি আবু হানিফা নাকি অন্য করো সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে? যদি আপনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করেন তবেই তো তার উত্তর দিতে পারবেন। আল্লাহ বলেন-
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ
(হে নবী) আপনি বলুন, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। আলে-ইমরান, ৩/৩১
★ আমাদের ইমাম কে
★ আমাদের ইমাম কে

Price : *Happy Shopping
Order via whatsapp Order via Email

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইডিয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Content copy is disabled! Default text copied.